ঠিক দু’বছর আগে এই দিনে বাংলাস্ফিয়ার ইউ টিউব চ্যানেল শুরু হয়েছিল। গোড়ার দিকে সপ্তাহে একটি ভিডিও আপলোড করতাম, তারপর একেবারে অনিয়মিত হতে হতে বন্ধই হয়ে গেল। অবশেষে গত এক বছরের কিঞ্চিৎ অধিক কাল ফের ছন্দে ফেরা হয়েছে।
READ MOREমহিনের ঘোড়াগুলির নায়ক গৌতম চট্টোপাধ্যায় তাঁর একটি অবিস্মরণীয় গানে একটি প্রশ্ন উসকে দিয়েছিলেন, ‘ভেবে দেখেছ কী, তারারাও কত আলোকবর্ষ দূরে?’
নবনীতা দেব সেন নিজের কথা বলতে গিয়ে একদা লিখেছিলেন,’ আমি এক চোখে হাসি, অন্য চোখে কাঁদি।’ সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা থেকে ভোর সাড়ে তিনটে
খেলাটার মাঝপথে ভাগ্যিস ঘুমিয়ে পড়েছিলাম! ক্যামেরুনের কাছে ব্রাজিল এক গোলে হারল, চোখের সামনে দেখতে হয়নি।
আমার বয়সে আসল শয্যা-সঙ্গিনী হোল ঘুমের ওষুধ। ঘুম বিনে গতি নেই, ওষুধ বিনে ঘুম নেই। পরশু রাতে আর্জেন্তিনা-পোলান্ডের ম্যাচ
আমরা লস এঞ্জেলেস পৌঁছনর আগেই দু’টি মর্মান্তিক ঘটনা ফুটবল বিশ্বকে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের মতো কাঁপিয়ে দিয়েছিল।
দ্বিতীয় গোলটি হজম করার পরে গ্যালারির মেক্সিকান অংশটি থেকে একটি স্লোগান বারেবারে উঠছিল, আপনারা শুনেছেন কি? ‘ফুয়েরা তাতা’, ‘ফুয়েরা তাতা।
সাকুল্যে দিন সাতেকের সফর, দেখব তিনটি ম্যাচ, একই স্টেডিয়ামে। একটা সেমিফাইনাল, থার্ড-ফোর্থ নির্বাচনের ম্যাচ, সবশেষে ফাইনাল।
আমি ছোট থেকেই শাক্ত। শক্তিই আমার আরাধ্য। লেখালিখির ভোরবেলাতেই শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের পাল্লায় আমি পড়ে গিয়েছিলাম।
আকিরো কুরোসাওয়ার ‘ দ্য সেভেন সামুরাই’ দেখেছেন? না দেখে থাকলে অন্যায় করেছেন তবে তার জন্য আক্ষেপ করার প্রয়োজন নেই।
ইরান-ইংল্যান্ড ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জিতল কে? প্রশ্নটি অদ্ভুত শোনালেও গভীর তাৎপর্যপূর্ণ।বিশ্বকাপ ফুটবলের স্কোর কার্ডে লেখা থাকবে ইংল্যান্ড ৬-২ গোলে জিতেছে।
কী অবলীলায় এক রত্তি তিউনিশিয়া রুখে দিল ডেনমার্ককে। কপাল মন্দ না হলে আজ তারা সৌদি আরবের মতোই জিতে হোটেলে ফিরত। এই তিউনিশিয়াতেই আরব বসন্তের সূচনা হয়েছিল।
বিজ্ঞানীরা দাবি করেন, পিঁপড়ে অথবা কাঠবেড়ালি নাকি একদিন আগেই বুঝতে পারে ভূমিকম্প আসছে। মানুষ পারেনা।
নবান্ন এখনও দূর অস্ত, সি পি এম নেতাদের গলায় তবু পুরোনো জঙ্গি মেজাজটা ফিরে আসতে শুরু করেছে। দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন
প্রথমে গভীর অনুতাপ, ঠিক তার পরক্ষণেই অনির্বচনীয় আনন্দ। জম্মোদিন এলে এখন আমার এমন এক্কেবারে স্ববিরোধী অনুভূতি হয়। মাইরি বলছি, ঢপ নয়!
ঝুলে রইল হিজাব বিতর্কের নিষ্পত্তি। বৃহস্পতিবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি একেবারে পরস্পর বিরোধী অবস্থান নেওয়ায় আপাতত মামলাটি হিমঘরে চলে গেল।
মরিয়া পুতিন বড় বিপজ্জনক। ইউক্রেন যুদ্ধ যত বেশি দীর্ঘায়িত হচ্ছে, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী যে ক্ষিপ্র গতিতে যুদ্ধের গোড়ায় হারানো জমি
বাংলাস্ফিয়ার—“গড সেভ দ্য কুইন”। গত সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে ব্রিটেনের জাতীয় সঙ্গীতে এভাবেই রাণীর মঙ্গল কামনা করা হত। আর হবেনা।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবরটা আমি পেয়েছিলাম হিমাচলের পাহাড়ের কোলে, একটি হোটেলে।
বাংলাস্ফিয়ার—সময়সীমা ও ব্যয়বরাদ্দ দুটোই ব্যাপকভাবে অতিক্রান্ত। তবু আনন্দের খবর হল এই যে নাসার নতুন চন্দ্রযানটিকে অবশেষে রীক্ষামূলকভাবে পাঠানো হচ্ছে উড়ানে।
বাংলাস্ফিয়ার- হাদি মাতার। সলমন রুশদির উপর হামলা চালিয়ে তিনি এখন রুশদি-বিরোধী দুনিয়ায় হিরো। ২৪ বছর বয়সে সব রকম ভাবে প্রায় ব্যর্থ মাতার এই ভাবে সহজে সাকসেস পেয়ে গেছে।
সরকার বাড়িতে দীর্ঘদিন কাজ করার সুবাদে কবিদের অনেককেই আমার খুব কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। ইস্কুলে পড়ার সময়ে আমার এক মামাতো
এই ফেসবুকে দেখি — সেলফি, খাওয়াদাওয়া আর ভ্রমণের ছবির সঙ্গে সম্ভবত একটি বস্তুই সসম্মানে প্রতিযোগিতায় নেমে থাকে, কবিতা।
ডাক্তার কুণাল সরকার বঙ্গসমাজে একটি অতি সুপরিচিত নাম। সুদক্ষ হার্ট সার্জন, বাংলা-ইংরেজি দু’টি ভাষাতেই সমান সাবলীল, স্বচ্ছন্দ, প্রথম সারির তার্কিক।
গত ৯ মে ছিল বিশ্ব মাতৃ দিবস। সত্যি কথা বলতে কী আমরা যারা আশির দশকে জন্মেছি আমাদের শৈশবে আলাদা আলাদা করে এমন বিশেষ দিন ছিল না।
এই জীবনে অভিজ্ঞতা তো কম হল না। কত রকম ডাকাতের সঙ্গে মিশলাম, জানলাম, দেখলাম। কিন্তু এমনটি আর দেখলাম না যেমনটি এই করোনাকালে চোখে পড়ল।
টালিগঞ্জের ছোট-বড় পর্দার কলাকুশলীরা প্রায় আড়াআড়ি বিভক্ত হয়ে গিয়ে যে যার পছন্দের দলের ঝান্ডা হাতে তুলেনিচ্ছেন। বাংলা মিডিয়া সেই খবরে ছয়লাপ,
এতদিন মানুষকে বলতে শুনেছি সল্টলেকটা ক্রমশ বৃদ্ধাবাস হয়ে উঠছে। বেশিরভাগই বয়স্ক লোক, ছেলেমেয়েরা বাইরে, টাকা পয়সার অভাব নেই।
পিসির গোঁফ থাকলে বাবারা চার ভাই হতেন, এই জাতীয় আলোচনা অবশ্যই বুরবকের কম্মো। কী হলে কী হতে পারত, ইতিহাস তার ধার ধারে না, যা হয়েছে সেটাকেই কাটাছেঁড়া করা তার কাজ।
বৌ, নাপিত আর দাঁতের ডাক্তার কখনও বদলাতে নেই বলে উপদেশ শুনেছি। ঘাড়ে মাথা একটাই, বৌ বদলের চিন্তাকে প্রশ্রয় দেওয়ার
বাজারে এক ফল-বিক্রেতার সঙ্গে পুলিশের বচসা বাধে। খেপে গিয়ে ওই পুলিশকর্মী ফল বিক্রতাকে সকলের সামনে একটা চড় মেরে তার ইলেকট্রনিক দাঁড়িপাল্লাটি কেড়ে নেয়।
দু’আঙুলের ফাঁকে সিগার নেই, ফিদেল কাস্ত্রোর এমন একটি ছবি কল্পনা করতে পারেন? কিংবা উইনস্টন চার্চিল? কিংবা অ্যালফ্রেড হিচকক?
সাত-সাতটি বছর পার হয়ে গিয়েছে তবু নরেন্দ্র মোদীর সেই উদাত্ত আর্জি এখনও কানে বাজে। একবার নয় বেশ কয়েকবার।
এই রে, গোড়াতেই বোধহয় মস্ত গলদ হয়ে গেল, একটি ‘পলিটিকালি ইনকারেক্ট’ বাংলা শব্দ ব্যবহার করে ফেললাম। দেখবেন আপনারা যেন আবার এ নিয়ে গোল পাকাবেন না।
‘পাগল যে তুই কণ্ঠভরে জানিয়ে দে তাই জানিয়ে দে, জানিয়ে দে সাহস করে’— রবীন্দ্রনাথ ছেলেবেলায় দক্ষিণ কলকাতার
পিসির গোঁফ থাকলে বাবারা চার ভাই হতেন, এই জাতীয় আলোচনা অবশ্যই বুরবকের কম্মো। কী হলে কী হতে পারত, ইতিহাস তার ধার ধারে না, যা হয়েছে সেটাকেই কাটাছেঁড়া করা তার কাজ।
বৌ, নাপিত আর দাঁতের ডাক্তার কখনও বদলাতে নেই বলে উপদেশ শুনেছি। ঘাড়ে মাথা একটাই, বৌ বদলের চিন্তাকে প্রশ্রয় দেওয়ার
আমি মোটামুটি দু’টি কাজ পারি। কলম চালাতে আর বকবকম করতে।কোনটা বেশি ভালো পারি, তার বিচারক আমি হতে পারিনা, হচ্ছিওনা।প্রশ্নটি যদি হয় কোনটাতে আমার অন্তরাত্মা তৃপ্ত হয়, চোখের পাতা পড়ার আগেই বলে ফেলব, লিখতে। ইদানীং আমার একটি ইউ টিউব চ্যানেল হয়েছে। প্রত্যহ রাত্রি নয় ঘটিকায় সেখানে আমি
বেদের পরে মনু সংহিতা বলে যে ধর্মশাস্ত্রর সৃষ্টি হয়েছিল (ঋষি মনু প্রণীত) তাকেই হিন্দু সমাজ প্রধান ধর্মশাস্ত্র বলে মেনে থাকে। সায়ম্ভব মনু নাকি
আগেও বলেছি, অন্তঃপুরের সংসারকর্ম, দায়িত্ব কর্তব্য সেরে নিয়ম কানুন, সামাজিক সংকীর্ণতা, সীমাবদ্ধতা আর গোঁড়ামির বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে অনেক প্রথা ভেঙে,
স্পষ্ট করে সম্ভবত কোথাও বলা নেই। বলার প্রয়োজনও নেই, কেননা এ কেবল আর বিভ্রান্তিকর ধারণা নয় প্রায় ঈশ্বরে বিশ্বাসের মতো সর্বজনীন।
‘অ্যান্ড দ্য উইনার ইজ….। কয়েক ন্যানো সেকেন্ড থামলেন ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটার। গম্ভীর থমথমে মুখ, বলিরেখায় অপরাধবোধ স্পষ্ট, কন্ঠস্বর কম্পমান।
একটি ফরাসি খেলার দৈনিক প্রথম পাতায় শিরোনামে লিখল, ‘ এবার থুরামকে প্রেসিডেন্ট করা হোক’। কেউ কেউ বলল, প্রেসিডেন্ট না হয়...
ছেলেবলায় আমার বাড়িতে একেবারেই মন টিকত না, যে কোনও ছুতোয় বাইরে পালিয়ে যেতাম। সংসারের কয়েকটা কাজ আমার জন্য বরাদ্দ ছিল, তার জন্য
‘দাদা, রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে লিখুন। আপনাকে খুব ‘মিস’ করছি।’ ‘দাদা, পুরোনো ফর্মে ফিরুন, গা গরম হচ্ছে না।’
করোনা নামটির সঙ্গে আমার পরিচয় অনেক দিনের। আমি একা কেন, সুরারসের সন্ধান রাখা অনেকেই হয়ত জানেন, ‘করোনা’ একটা জনপ্রিয় মেক্সিকান বিয়ারের নাম। ছোট সুদৃশ্য কাচের বোতলে পাওয়া যায়,
কী রে মামু, এটা কি ঠিক করলি? শেষ পর্যন্ত এমন ঘোর অসময়ে খবরের কাগজে তোর স্মৃতি রোমন্থন করতে হবে আমাকে?