- August 16th, 2022
বুদ্ধ ও নির্বাণ (পর্ব-৫)
ন্যূনতম ইতিহাস-চেতনা থাকলে বিচারপতি সুশান্ত চট্টোপাধ্যায় জালিয়ানওয়ালাবাগের দৃষ্টান্ত দিতেন না। ১৯৯৩-এর ২১ জুলাই কলকাতার রাজপথে পুলিশের নির্বিচার গুলি চালনা ছিল বর্বরতারই নামান্তর।
ন্যূনতম ইতিহাস-চেতনা থাকলে বিচারপতি সুশান্ত চট্টোপাধ্যায় জালিয়ানওয়ালাবাগের দৃষ্টান্ত দিতেন না। ১৯৯৩-এর ২১ জুলাই কলকাতার রাজপথে পুলিশের নির্বিচার গুলি চালনা ছিল বর্বরতারই নামান্তর।
১৯৮৫ সালে আমি যে কলকাতা ছেড়েছিলাম, '৯৩ সালে সেই শহরে আমি প্রত্যাবর্তন করিনি। ইতিমধ্যে স্থানীয় রাজনীতিতে বাম-বিরোধিতার প্রধান মুখ হয়ে উঠে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আমার অতি বড় দুর্ভাগ্য প্রমোদ দশগুপ্তকে চেনার সুযোগই পাইনি। ১৯৮২ সালে চিনে সফররত অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর অকস্মাৎ মৃত্যু হলো,
বুদ্ধবাবুর তরফে আমার ওপর ক্রদ্ধ হওয়ার যথেষ্ট কারণ ছিল। কেননা আমি আমার কলামে নিয়মিত তাঁর সমালোচনা করতাম, তাঁর অহংবোধ আর ঔদ্ধত্যকে উপহাস করতাম,
অনেক বছর আগের কথা। কলকাতার একটি নামজাদা বাণিজ্যিক সংস্থা একবার স্থির করল পুজোর আগে তারা একটি স্মরণিকা প্রকাশ করবে। আমার কাছে অনুরোধ এল কলকাতায় দুর্গাপুজোর ইতিহাস নিয়ে একটি নিবন্ধ লেখার।
নো নিউজ ইজ গুড নিউজ। সেই কবে থেকে শুনছি, আপনারাও নিশ্চয়ই শুনেছেন। এর গূঢ় অর্থটি হল, খবর মানেই দুঃসংবাদ, কোনও খবর না থাকার মানে কোনও দুঃসংবাদ নেই। যাক বাবা বাঁচা গেল!
প্রিয়-সুব্রত অচ্ছেদ্য জুটির মাঝখানে প্রথম দেওয়াল উঠল জরুরি অবস্থার পরে, ইন্দিরা গান্ধীর সৌজন্যে। সঞ্জয় গান্ধীর সঙ্গে প্রিয়র অসম লড়াই তার অনেক আগেই শুরু হয়েছিল,
অনেকটা যেন কান টানলে মাথা আসার মতো। ঠান্ডা মাথায় হিসেব করলে দেখা যাবে, প্রিয়-সুব্রতর মানিকজোড়ের সম্পর্ক সময়ের বিচারে দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়নি।
কলকাতায় থাকাকালীন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার মৌখিক পরিচয় ছিল তবে ওইটুকুই। ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল ৮৫ সালে আমি দিল্লিবাসী হওয়ার পরে। দলের অথবা ট্রেড ইউনিয়নের কাজে
পিসির গোঁফ থাকলে বাবারা চার ভাই হতেন, এই জাতীয় আলোচনা অবশ্যই বুরবকের কম্মো। কী হলে কী হতে পারত, ইতিহাস তার ধার ধারে না, যা হয়েছে সেটাকেই কাটাছেঁড়া করা তার কাজ।
বৌ, নাপিত আর দাঁতের ডাক্তার কখনও বদলাতে নেই বলে উপদেশ শুনেছি। ঘাড়ে মাথা একটাই, বৌ বদলের চিন্তাকে প্রশ্রয় দেওয়ার