- August 17th, 2022
বুদ্ধং শরণং (পর্ব-১৭)
পাঁচ বছরের মুখ্যমন্ত্রিত্বে এমন কী করেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য যে রাজ্যবাসী এমন মাথায় করে তাঁকে ফের মহাকরণে ফিরিয়ে এনেছিল? আর যাই হোক তাঁর হাতে তো কোনও জাদুদণ্ড ছিল না!
পাঁচ বছরের মুখ্যমন্ত্রিত্বে এমন কী করেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য যে রাজ্যবাসী এমন মাথায় করে তাঁকে ফের মহাকরণে ফিরিয়ে এনেছিল? আর যাই হোক তাঁর হাতে তো কোনও জাদুদণ্ড ছিল না!
২০০১-এ তাঁকে নিয়ে সিপিএমের অন্দরে একটা কী হয়, কী হয় ভাব ছিল। হাজার হোক জ্যোতি বসুর জুতোয় পা গলিয়েছেন, মানুষ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে তাঁর বিকল্প হিসেবে মানবে নাকি
ক্রমাগত অপমান সহ্য করতে না-পেরে ২০০৫-এর অক্টোবরে স্টার আনন্দ থেকে ইস্তফাই দিয়ে দিলাম। ছেলেবেলা থেকে শুনে আসছি রাগের মাথায় কোনও সিদ্ধান্ত নিতে নেই,
আমার থমথমে চোখ-মুখ দেখে বুদ্ধদেববাবু বুঝতে পারলেন কোথাও একটা বড় কিছু গন্ডগোল হয়ে গিয়েছে। ডিসক্রিশন ইজ দ্য বেটার পার্ট অব ভেলর, বুঝেও তাই তিনি মন্তব্য করলেন না।
জ্যোতি বসু কমিউনিস্ট ছিলেন, ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন করেছেন, জীবনের একটা সময় দারুণ কৃচ্ছ্রসাধন করেছেন, সবই ঠিক।
লন্ডন ছিল জ্যোতি বসুর ‘সেকেন্ড হোম’, ব্যারিস্টারি পড়তে গিয়ে সেখানে তিনি অনেকগুলো বছর কাটিয়েছিলেন, হ্যারি পলিট বা রজনী পাম দত্তর মতো গুরু-দর্শনও হয়েছিল সেখানেই।
নিজেকে বদলে ফেলার কাজটা আদৌ সহজ নয় এটা যেমন সত্যি তেমনি একই রকম সত্যি এই প্রবাদটিও যে স্বভাব যায় না মলেও।
আমি যা উচিত বলে মনে করি সেটাই বলি, যেটা আমার কর্তব্য বলে মনে করি সেটাই করার চেষ্টা করি। আমাকে যদি এক লাইনে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের চরিত্রায়ন করতে হয়,
পার্থ ভট্টাচার্য বাজে কথা বলার মানুষ ছিলেন না। তবু কখনও সখনও কোনও একটা খবর শুনলে প্রাথমিক ভাবে মনে হয়, এ অসম্ভব, হতেই পারে না। আমার বাধো বাধো ভাব দেখে পার্থবাবু বললেন,
পিসির গোঁফ থাকলে বাবারা চার ভাই হতেন, এই জাতীয় আলোচনা অবশ্যই বুরবকের কম্মো। কী হলে কী হতে পারত, ইতিহাস তার ধার ধারে না, যা হয়েছে সেটাকেই কাটাছেঁড়া করা তার কাজ।
বৌ, নাপিত আর দাঁতের ডাক্তার কখনও বদলাতে নেই বলে উপদেশ শুনেছি। ঘাড়ে মাথা একটাই, বৌ বদলের চিন্তাকে প্রশ্রয় দেওয়ার