- August 17th, 2022
বুদ্ধং শরণং (পর্ব-৯)
পার্থ ভট্টাচার্য বাজে কথা বলার মানুষ ছিলেন না। তবু কখনও সখনও কোনও একটা খবর শুনলে প্রাথমিক ভাবে মনে হয়, এ অসম্ভব, হতেই পারে না। আমার বাধো বাধো ভাব দেখে পার্থবাবু বললেন,
পার্থ ভট্টাচার্য বাজে কথা বলার মানুষ ছিলেন না। তবু কখনও সখনও কোনও একটা খবর শুনলে প্রাথমিক ভাবে মনে হয়, এ অসম্ভব, হতেই পারে না। আমার বাধো বাধো ভাব দেখে পার্থবাবু বললেন,
আলিপুরের ভবানী ভবনে পৌঁছে আর্দালি মারফৎ খবর পাঠাতেই পার্থ ভট্টাচার্য সঙ্গে সঙ্গে আমাকে নিজের ঘরে ডেকে নিলেন। প্রশস্ত ঘর,
তাঁর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে জ্যোতি বসু কেবল একবারই আনন্দবাজারের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন। রশিদ খানের পয়সায় তিনি বিলেত গিয়েছেন, প্রথম পাতায় এই মর্মে একটি খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে।
পার্থ ভট্টাচার্য। সম্পর্কে বোধহয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের তুতো ভাই। কর্মজীবনে এর জন্য তিনি বাড়তি কোনও সুবিধে পেয়েছেন বলে শুনিনি, তাঁর প্রয়োজনও হয়নি। কেন না পার্থবাবু নিজেই ছিলেন আইপিএস, সুদক্ষ পুলিশ অফিসার।
খারিজি মাদ্রাসার ক্ষেত্রেই শুধু নয়, তার আগেও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে অন্য একটি বিষয়ে দু’পা এগিয়ে চার পা পিছিয়ে আসতে হয়েছিল। সংগঠিত সন্ত্রাস রুখতে আইন প্রনয়ণ।
‘ভুল যখন করেছো, তখন সেটা প্রকাশ্যে স্বীকার করো।’ বক্তার নাম জ্যোতি বসু। উপদেশ দিচ্ছেন যাঁকে, তাঁর নাম বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। রাজ্য বামফ্রন্টের জরুরি বৈঠকে। সংখ্যালঘু বিক্ষোভে রাজ্য তখন উত্তাল, হঠাৎই স্বখাত সলিলে পড়ে গিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০০২-এর ফেব্রুয়ারি মাসের ঘটনা।
জ্যোতি বসু আর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মধ্যে তফাতটা কোথায় দিল্লির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে নিজের অফিস ঘরে বসে লালকৃষ্ণ আদবানি একদা আমায় তা বুঝিয়ে ছিলেন।
এই একটি ঘটনাকে উপেক্ষা করে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে আমার সুসম্পর্কের ইতিবৃত্ত শুরু করা অসম্ভব। ঘটনাটির কথা আমি আগেও বলেছি, ছাপার অক্ষরে বইতে গ্রথিতও আছে (শিয়রে সুমন, সঙ্গে শুভাশিস মৈত্র, প্রকাশক ধানসিঁড়ি)। তবু অধিকন্তু নঃ দোষায়!
২০০১-এর বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে জ্যোতি বসুর শূন্যস্থানে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করাটা ছিল সিপিএমের মাস্টার-স্ট্রোক। এই একটি সিদ্ধান্ত বিরোধীদের পাল থেকে অনেকখানি হাওয়া কেড়ে নিতে পেরেছিল ময়দানে লড়াই শুরু হওয়ার আগেই।
পিসির গোঁফ থাকলে বাবারা চার ভাই হতেন, এই জাতীয় আলোচনা অবশ্যই বুরবকের কম্মো। কী হলে কী হতে পারত, ইতিহাস তার ধার ধারে না, যা হয়েছে সেটাকেই কাটাছেঁড়া করা তার কাজ।
বৌ, নাপিত আর দাঁতের ডাক্তার কখনও বদলাতে নেই বলে উপদেশ শুনেছি। ঘাড়ে মাথা একটাই, বৌ বদলের চিন্তাকে প্রশ্রয় দেওয়ার