logo

সামনে বুদ্ধদেব (৩)

  • August 17th, 2022
Interviews

সামনে বুদ্ধদেব (৩)

সুমন চট্টোপাধ্যায়

সুমন -ধরুন এই জিন্দালরা সরে যাবার পরে এই রকম মেজর কোনও শিল্প তো অদূর ভবিষ্যতে দেখা যাচ্ছে না।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - আয়রন ওর নিয়ে তো হল না। এবং অদূর ভবিষ্যতে ভারত সরকার যতক্ষণ না একটা নির্দিষ্ট নীতি নির্ধারণ করছে, তত দিন হবেও না। দুটো বিষয় আছে, বড় ইস্যু হচ্ছে, আয়রন ওর আমরা কত এক্সপোর্ট করতে পারি? বছরের পর বছর আমরা এক্সপোর্ট করে গেছি। আমাকে মুথুরামন একটা পেপার পাঠিয়েছিল। রতন টাটা মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন। পৃথিবীতে আয়রন ওর রিজার্ভ কত? স্টিল ইন্ডাস্ট্রির কী অবস্থা? এর ফিউচারটা কি? অস্ট্রেলিয়ায় লার্জেস্ট রিজার্ভ, ওরা স্টিল ম্যানুফ্যাকচার করে না। তারা সেই অনুপাতে এক্সপোর্ট করে। সেকেন্ড ইউক্রেন–তারা দেয় না, তারপর ব্রাজিল। রিজার্ভ অনুযায়ী ইন্ডিয়া অষ্টম। কিন্তু বছরের পর বছর আয়রন ওর এক্সপোর্ট করে যাচ্ছি ফরেন এক্সচেঞ্জের জন্য। স্টিল ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও দুর্ভাবনা নেই। At least রতন টাটা বা এই ধরনের গোষ্ঠীর এই ব্যাপারটা জাতীয় স্তরে আলোচনা করা উচিত। আরেকটা পলিসি হচ্ছে, কয়লার ক্ষেত্রে যেমন একটা জাতীয় স্তরে নীতি আছে, কয়লা মুভমেন্ট, দাম ইত্যাদি, আয়রন ওরস এর বেলায় সে সব কিচ্ছু নেই ।আমার পার্শ্ববর্তী রাজ্যের ইচ্ছে হল আমি দেব না।

সুমন - আপনি তো চেষ্টা করলেন।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - পারলাম না তো। জিন্দাল, তার বাবা, সবাই মিলে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন
সুমন - আপনিও তো আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য -উনি শেষ মুহূর্তে নিজে এসে আমার সঙ্গে দেখা করলেন। আমি নিজে তিনবার অর্জুন মুন্ডার সঙ্গে কথাবলেছি, হল না।

সুমন - কোথায় আটকাল?

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য -আপনার মনে আছে আমি ভিসুভিয়াস গিয়েছিলাম, ব্রিটিশ সংস্থা, খুব ভালো কাজ করছিল। Expansion এর প্রোগ্রাম ছিল। সেখানে আমাকে চা খেতে খেতে বলল, হয় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সই করুন, না হলে মাইন অন্য কাউকে দিয়ে দেব। আমি ভাবলাম, আমার রাজ্যে না হোক, আমার পাশের রাজ্যে তো হবে

সুমন -শিল্পের ক্ষেত্রে ভৌগোলিক ভারসাম্যের অভাব চোখে পড়ার মতো। শিল্পটা হচ্ছে কলকাতা এবং তার চারপাশে। বাঁকুড়ায় কিছুটা হয়েছে, উত্তরবঙ্গে কার্যত এখনও কিছু হয়নি।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - আমি দুটো কথা বলবো। একটা হলদিয়া

সুমন - হ্যাঁ হলদিয়া তো আছে। Haldia is a growth story for quite sometime. আমি বলছি বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, উত্তরবঙ্গ। beyond Bhagirathi no industry, nothing.

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - সেটা খানিকটা জেলার অবস্থা দেখেও হয়। Mineral resources আছে কি না? জল একটা বড় ব্যাপার। ম্যানুফ্যাকচারিং সব জায়গায় বললেই করা যাবে না কিন্তু এগ্রো বিজনেসটা করা যাবে। উত্তরবঙ্গে আমরা জোর দিচ্ছি দুটো তিনটের উপর। একটা এগ্রো বিজনেস, হচ্ছে। ক্যালিপসো বলুন, ডাবর বলুন, ওরা এসেছে তো। আরও বেশি করে আসবে যদি আমরা সমাধানটা করতে পারি। আমাদের সিঙ্কোনাটা যদি নেয়, আমি ডাবরকে দু’বার তিনবার রিকোয়েস্ট করেছি। সম্প্রতি চিঠি দিয়েছে, ওরা কাজ করবে। উত্তরবঙ্গে কৃষিভিত্তিক শিল্প, মেডিসিনাল প্ল্যান্টস এগুলো মূলত হয়েছে। ম্যানুফ্যাকচারিং খুব একটা হবে না। হলদিয়াতে সবকিছু হবে ।

আরও একটা বিষয় আছে, আপনাকে বলছি,

স্টিলটাতে এ রকম মার খাওয়ার পর আমাদের এখন concentrate করা উচিত কেমিক্যালসে। হলদিয়াকে আমাদের এখন ক্যামিক্যাল হাব করতে হবে। তাতে দিল্লিতে যে presentation হয়েছিল, সেখানে আমরা এ সবচেয়ে ওপরেই আছি। অর্থাৎ রিফাইনারি রয়েছে, হলদিয়া পেট্রোকেম রয়েছে। জাপানিরা এসেছে।

ডাউনস্ট্রিমে আরও অনেক কিছু হতে পারে। তা হলে যেহেতু স্টিলে মার খাচ্ছি

আমরা হাল ছেড়ে দেব না। এগিয়ে আমরা যাবোই। চেষ্টা করে যাব। কবে হবে, কী হবে জানি না। আমাদের ঠিকঠাক করে agriculture এর ওপরেও জোর দিতে হবে।

সুমন - পূর্ণেন্দুর সঙ্গে ঝামেলাটা মিটিয়ে নিচ্ছেন না কেন?

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - এখন বল তো ওদের কোর্টেই। আমরা পরিষ্কার অফার দিয়েছি।

সুমন -হয় আমাকে কিনে নাও, নয় তোমাকে আমি তোমার দামে কিনে নিচ্ছি। কত টাকা ওর শেয়ারের দাম হবে?

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - সে কথাবার্তা চলছে, সেটা আমি খুব একটা জানি না।

সুমন – এ তো আপনি ওকে একদম ব্যাকফুটে ফেলে দিলেন।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - টাকাও দেবে না, বসেও থাকবে! এ হয় না কি?

সুমন – তা হলে ধাপে ধাপে সুযোগ দিন ওকে কিনে নেওয়ার। In one go এত কোটি টাকা পাবে কোথায়?

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - ওটা নিরুপম লিড করছে। আমরা তো ওর সঙ্গে কোনোও অন্যায় ব্যবহার করিনি।

সুমন –আর একটা জিনিস আমি বলি, শিল্পের ক্ষেত্রে যখন আমরা আলোচনা করছি, ক’দিন আগে নিরুপমবাবুর সঙ্গে আমি আলোচনা করতে গিয়েছিলাম। জিজ্ঞেস করেছিলাম যে শিল্পমন্ত্রী হিসেবে আপনাকে সবচেয়ে সন্তুষ্ট করেছে কোন বিষয়টি। উনি বলেছেন ভাবমূর্তির যে সমস্যাটা রাজ্যের ছিল, সেটা আমরা অনেকটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। আপনি কি মনে করেন সেটা সত্যি? এত তাড়াতাড়ি মানুষের মনে গেঁথে যাওয়া পারসেপশন বদলানো যায়?

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - যতখানি এটা বুঝতে পারছি, আপনি যদি recently দেখেন বিভিন্ন ম্যাগাজিন, এমনকী ইউরোপও, তারাও

West Bengal কে ফোকাস করছে। সাম্প্রতিককালে আমি যে বিদেশি কোম্পানিগুলোকে মিট করেছি জার্মান

কোম্পানি, একটা বড় কোম্পানি, শিপ বিল্ডিং, তারা তো করবে। হলদিয়াতে এসেছে। ইউরোপ তো বটেই,
সাউথ ইস্ট এশিয়া, এরা কিন্তু বেঙ্গলকে মনে করছে এখন ডেসটিনেশন হওয়া উচিত। আর দেশের মধ্যে তো
বটেই। আইটি-তে প্রেমজি বলুন, নারায়ণমূর্তিরা আছেন।

সুমন - নারায়ণমূর্তি এখনও আসেননি কিন্তু।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - আপনি এখনও একটু পিছিয়ে আছেন

সুমন - (হাসি) জমি দিতে পারছেন না?

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য -জমি আমরা অফার করেছি। এখন সবাই ঘুরে ফিরে, রাজারহাট একবার দেখলে আর কেউ রাজারহাটের বাইরে যেতে চায় না। এটা হচ্ছে সমস্যা। রাজারহাটে কত জমি দেব আমি? তাও আমি প্রস্তাব দিয়েছি। ওঁরা দেখে গেছেন। আপনাকে একটা কথা বলি —আগে যেমন ওয়েস্ট বেঙ্গলে কিচ্ছু হবে না, কিচ্ছু হবে না, এই আবহাওয়াটা ছিল, সেটা গেছে। পশ্চিমবাংলাকে ভাবা যেতে পারে — এটা আমি বড়, ছোট, মাঝারি, ধরুন মাদ্রাজ সিমেন্ট বেসিক্যালি সাউথ

ইন্ডিয়ান কোম্পানি, কোনওদিন ভাবেনি ওয়েস্ট বেঙ্গলে আসবে, কিন্তু খড়্গপুরে ওরা কারখানা
করার পর আমার

সঙ্গে আলাপ হল। এখন আবার নতুন ইউনিট করতে চাইছে। খড়্গপুরে করেছে সিমেন্ট এখন আবার করতে
চাইছে কোলাঘাটে পাওয়ার স্টেশনের পাশে। উনি আমাকে বললেন সাউথেও অনেকেই বলছে ওয়েস্ট বেঙ্গল।

শুধু আইটি না, ম্যানুফ্যাকচারিংও। অর্থাৎ আমার নিজেরও ফিলিং, যেমন আগে যখন চেম্বার অফ কমার্সে মিট

করতে যেতাম, তারা যে ভাবে প্রশ্ন করতেন …

সুমন - অনেক Hostile ছিলেন।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - Hostile, ঠিক নয়, অনেক apprehension, সন্দেহ, সমালোচনা। এখন তাঁরা অন্তত এটুকু বুঝছেন যে আমি বা আমার মন্ত্রী

নিরুপম সেন আপ্রাণ চেষ্টা করছি ভাবমূর্তিটাকে ফেরানোর। শুধু বক্তৃতা দিয়ে নয়, হাতেকলমে।

সুমন -কিন্তু এই ভাবমূর্তি ফেরানোর জন্য আপনার যতটা proactive হওয়ার দরকার ছিল আপনি কি তা হয়েছেন? পাঁচ বছরে পশ্চিমবঙ্গে আপনি একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী যিনি তিনবার বিদেশে গেছেন তাও গড়ে আড়াই দিন করেথাকতে চাননি। সই করে কত তাড়াতাড়ি ফিরে আসা যায়! If you don’t play a proactive role, if you don’t go তাহলে লোকে কী করে জানবে? আপনি তো অনেকটা পেয়েছেন বাই ডিফল্ট। বাড়িতে বসেই পেয়ে গেছেন।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - বিদেশে ঘুরে বেড়ালেই যে শিল্প আসবে, সেটা হয় না।

সুমন -সে কথা বলছি না। জ্যোতিবাবু বছরে একবার যেতেন আমি তার কথা বলছি না। আপনি ইউরোপে তো কার্যত গেলেনই না। আমেরিকা অ্যাভয়েড করলেন। আপনি একবারও জাপান গেছেন?

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - অ্যাভয়েড কেন করবো?

সুমন -

আপনি তো গেলেন না।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - হাতেকলমে একটা কিছু দাঁড়ালে…।

সুমন - প্রথমেই কি দাঁড়াবে? এটাই আপনার কাছে আমার একটা বক্তব্য।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - না তা না

সুমন - কোনও exploration হবে না? আপনাকে লোকে চিনবে না?

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - ধরুন জাপান। জাপান যাওয়ার আগে ছ’মাস প্রস্তুতি করতে হয়েছিল, কোম্পানিদের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান

করেসপনডেন্স করতে হয়েছিল। এখন তারা আসছে। মিৎসুবিশি, মারুবেনী। ওই রকম preparation করে না গেলে

কিছুই হত না। একই ভাবে ইন্দোনেশিয়া বা সিঙ্গাপুরে বেশ কয়েক মাস পরিশ্রম করতে হয়েছে। একটু প্রস্তুতি না

নিলে শুধু একটা ভাষণ দিলে হয় না।

সুমন- ইন্দোনেশিয়ার প্রসঙ্গ যখন এল, তখন জানতে চাইব এই সালেম গোষ্ঠী কি খুব বিশ্বাসযোগ্য? ওদের নিয়ে আসাটা কি ঠিক হল?

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - কোন ব্যাপারে?

সুমন - সালেমকে আনা। Internationally অনেকেই বলছেন যে they are not a trustworthy business house.

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য -সব বিজনেস হাউস এর রহস্য তো জানা যায় না। তবে সাধারণ ভাবে আমি যা জেনেছি, প্রথমত এরা সাউথ ইস্ট এশিয়ার একটা অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী। দ্বিতীয়ত, অনেকগুলো এরিয়ায় ওরা কাজ করে। তৃতীয়ত হচ্ছে ওরা চিনের সঙ্গে কাজ করে, জাপানের সঙ্গে করে। তাদের collaboration আছে জাপানের সঙ্গে। আর তাদের কোম্পানি, এটাও একটা জায়গায় পড়েছিলাম, উঠেছে, নেমেছে, fall করেছে, কিন্তু আবার দাঁড়িয়েছে এরকম একটা।

সুমন একটা দিক তো আছেই। ধরুন কমিউনিস্টদের exterminate করেছে, সুহার্তো regime এ। People are saying

this is crony capitalism. Crony capitalism ultimately ভালো হয় না।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - Capitalism is Capitalism, bloody capitalism (হাসি)।

সুমন - That’s true। যে অর্থে রতন টাটা ক্যাপিটালিস্ট, যে অর্থে বিল গেটস ক্যাপিটালিসট, সে অর্থে সালেমরা

কিন্তু capitalist নয়। They are cronies. They will survive because somebody else get them
patronage. আপনার জমানায় যেটা কেউ পাচ্ছে না।

বুদ্ধদেব - পলিটিক্যাল পাস্ট নিয়ে আমার দরকার নেই। আমার যেটা দরকার, তা হল পুঁজি এবং সেখানে ওই good capitalist. Bad capitalist, তুলনা নয়। শুধু এটা বুঝেছিলাম যে তারা কিস্যু না, তা নয়, তাদের বড় মাপের দেশে বিদেশে

কাজ আছে এবং শক্ত জমিতে তারা দাঁড়িয়ে আছে। রতন টাটার মতো লোক, প্রেমজির মতো লোক কোথায়
পাব? আপনি যেটা বললেন সেটাও ঠিক, এ সব ব্যাপারে সর্তক থাকা দরকার।

সুমন চট্টোপাধ্যায় -আপনার কি মনে হয় না যে সালেমের ইস্যুটা খুব ভালো করে হ্যান্ডল করতে পারেননি আপনারা? এই ধরুন, কৃষি জমি নিয়ে এই যে বিতর্ক হল।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - এটা তো unnecessary হয়ে গেল। কিছু জানার আগেই…।

সুমন – এমনকী জ্যোতিবাবু পর্যন্ত উষ্মা প্রকাশ করলেন প্রকাশ্যে।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য -না, না, ফ্রন্টের মধ্যেই কিছু হল, তার থেকে কিছু কথাবার্তা কাগজে বেরিয়ে গেলো। যেটা হচ্ছে, প্র্যাক্টিক্যালি ওখানে কিছু মামুলি এগ্রিমেন্ট হয়েছিল।

সুমন - সে তো আমি ছিলাম, দেখেছি।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - DPR (Detailed Project Report) না করে, কোথায় হবে, কোন জায়গায় হবে, কত জমি হবে, কোন জমি —এ সব না-করে, রটে গেল জমি চলে গেল, জমি চলে গেল। কয়েকটা দল নেমে গেল, মুসলমানদের জমি চলে যাচ্ছে।

সুমন - হ্যাঁ দেখলাম তো, মথুরাপুর না কোথায় আপনি বলছিলেন।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - এটাতে যেটা হয়েছে, পরে বুঝেছিলাম, ভুল হয়েছে। আমাদের এই জমি conversion এর ব্যাপারে LR department এ আমি, নিরুপম, রেজ্জাক বসে হস্তান্তরের ব্যাপারে একটা Resolution করিয়ে নিয়েছিলাম। transparent থাকার জন্য।

সুমন - সেটা কী?

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য – কোন জমি দেওয়া উচিত, কোন জমি দেওয়া উচিত না? খুব উর্বর জমি, দু’তিনটে ফসল হয়, সেই জমি যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়া উচিত। অনুর্বর জমি, পতিত জমি, খরা জমি, এই যেমন হলদিয়াতে আমার কোনও প্রবলেমই হবে না। উলুবেড়িয়াতে ভুগলাম তো। দুর্গাপুর, আসানসোল – কোনও প্রবলেম নেই। কিন্তু ২৪ পরগনা, দঃ ২৪ পরগনার মতো জেলায় কোন জমি নেব, সে ব্যাপারে আমাকে দশবার ভাবতে হবে। যেখানে হইচইটা হল, ভাঙড়, সেখানে কোনও প্রশ্নই নেই – এত সবুজ জমি, ভালো জমি।

সুমন - আর চাইলেও রেজ্জাক মোল্লা সাহেব দেবেন না, জীবন দিয়ে দেবেন।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য -বানতলায় করেছিলেন। সেকেন্ডলি, যেটা conversion হবে, তার দাম কী হবে? বাজারমূল্য কথাটার অর্থ কী? বাড়তি দাম ঠিক করে দেওয়া হবে কোন পদ্ধতিতে? তৃতীয়ত, ক্ষতিপূরণটা কী হবে? শুধু তার জমির দাম হবে, নাকি যদি শুধু যদি ওইটাই তার আয়ের উৎস হয়, তা হলে তাকে উদ্বৃত্ত কিছু দিতে হবে।

সুমন - তাহলে তার বিকল্প চাকরি দেখে দিতে হবে। দেখুন, expression of intention এক রকম, বাস্তবে করা খুব কঠিন ব্যাপার। হাওড়াতে প্রসূন মুখার্জির প্রজেক্টে যেটা হচ্ছে। কৃষকের জমি কেড়ে নিয়ে যদি উপনগরী হয় তা হলে তো it is neither politically correct, nor economically viable.

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - একেবারেই না। আপনি জমিটা দেখেননি। জমিটার মধ্যে দিয়ে একটা নালা ছিল, তাতে ফসল হত কি হত না, কেউ জানে না। বেশিরভাগ বছরেই ফসল হত না।

সুমন - বড়লোকের বাড়ি হচ্ছে, এটা কিন্তু perception। আপনি জমি তুলে দিচ্ছেন ওদের, ওরা ৭০ লক্ষ টাকার বাংলো বানাচ্ছে।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - ৭০ লক্ষ টাকা তো একটা অংশের জন্য। ওখানে আপনার তিনটে section আছে। Economically weaker

section, ৭%, তাদের জন্য আছে। Middle Income Group, তাদের জন্য আছে প্রায় ২০%। আমি যেটা দেখে

এসেছিলাম সেটা বড়লোকদের, প্রায় ১৫-২০ লক্ষ টাকা দাম। কিন্তু মাঝারি আয়ের মানুষ, এমনকী নিম্নবিত্ত
মানুষেরও পারসেন্টেজ তো আমাদের চুক্তির মধ্যে ছিল। সেটা সবাইকেই করতে হবে। যেটা আপনাকে আমি
বলেছিলাম কথাটা। ধরুন মাপকাঠিটা এই রকম হওয়া উচিত। এই জমিতে কী সম্পদ সৃষ্টি হয়? কত

মানুষের কাজ

হয়? আমি যদি conversion এ যাই, তবে কী সম্পদ সৃষ্টি হবে? কত মানুষের কাজ হবে?

সুমন - কিন্তু যে মানুষগুলো সরবে, তারা যাবে কোথায়?

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য -হয় বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে, নয়তো শিল্প যেখানে আসছে, সেখানে absorb করতে হবে।

সুমন -বুদ্ধবাবু, গোটা পৃথিবী জুড়েই এটা একটা মেজর ইস্যু। ধরুন আমার বাড়ি, ধরে নিচ্ছি সেটা অনুর্বর জমি, আমি

সেখানে থাকি, আমারও মানুষ হিসেবে প্রকৃতির কাছে, লোকালিটির কাছে, আমার সমাজের কাছে, আমার পাড়ার

কাছে, সব জায়গা থেকেই তো আমি একটা sustenance পাই। আপনি সেখানে, আপনার প্রয়োজনের জন্য
আমাকে উৎপাটিত করবেন, আপনার পছন্দের একটা জায়গায় পাঠিয়ে আপনি যদি আমার পেটও ভরান, তাতে

কিন্তু আমার তৃপ্তি হয় না। This is a major issue। আদিবাসীদের নিয়ে যে ঝামেলাটা হচ্ছে আজ
ভারতবর্ষে। Everywhere it is an issue. This is a very sensitive issue. It is not merely a
question of Economics।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য -এটায় Economics এর ব্যাপার আছে, পরিবেশের ব্যাপার আছে, সবচেয়ে বড় কথা মানুষের অধিকারের ব্যাপার

আছে। কিন্তু আপনি এটাও তো মানবেন, কৃষি থেকে শিল্পে, গ্রাম থেকে নগরে উত্থান, এটাই তো সভ্যতার গতি।

আপনি গতিকে আটকাতে পারেন না, আটকানো উচিত ও নয়। কিন্তু সেই গতিটাকে আপনি কতটা নিয়ন্ত্রণ
করতে পারবেন সামাজিক ভাবে, সেইখানেই সামাজিক নিয়ন্ত্রণের প্রশ্ন। সেখানেই সরকারের ভূমিকা। কিন্তু আমি

চিরকাল কৃষিতেই থাকব – ‘ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড়’, তা হবে না। আপনাকে কৃষি থেকে শিল্পে উঠতেই হবে।

গ্রাম থেকে শহরে উঠতেই হবে। এটাই হচ্ছে সভ্যতার স্বাভাবিক গতি।

সুমন -আচ্ছা, ভাবমূর্তির ব্যাপারে ফিরে আসি। ভাবমূর্তির প্রসঙ্গে ধরুন আইটি। আইটি-তে বেশ কিছুটা আমরা ভালো করেছি, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু আইটি-র ক্ষেত্রে মূল সমস্যা জমি। সেই জমির ব্যাপারে কোনও লং টার্ম প্ল্যান আপনাদের সরকারের ছিল না, আজও নেই। যে পরিকল্পনাটা হায়দরাবাদের আছে। যে কারণে তারা কয়েক হাজার একর নিয়ে রেখেছে। সেকেন্ড, আইটি-কে ওরা হায়দরাবাদ থেকে ছড়াতে পেরেছে, ভাইজাগে পাঠাচ্ছে, টিয়ার টু শহরে পাঠাচ্ছে। আমাদের এখানে কলকাতা এবং কলকাতার পাঁচ কিলোমিটার রেডিয়াসের বাইরে আইটি বলে কিছু exist করে না। দুর্গাপুরে একটা আধটা কলসেন্টার হয়েছে, সেগুলোরও নিভু নিভু অবস্থা।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য -আপনার তথ্যে একটু ভুল আছে। প্রথমত সেক্টর ফাইভে আইটি হবে, সেটা কয়েক বছর আগে আমরাও জানতাম না। কিন্তু কয়েকটা বেশ বড় কোম্পানি এখানে চলে আসার ফলে, যেমন আইবিএম, প্রাইস ওয়াটার হাউস, আস্তে আস্তে ওটা আইটি-র একটা হাব হয়ে গেল। কিন্তু ওটা পরিকল্পিত নয়। দ্বিতীয়ত যেটা আপনি বলছেন, ওটা এখন সম্পূর্ণ, ওখানে আর এগোনোর জায়গা নেই।

সুমন - কিন্তু ডিমান্ডের তুলনায় অপ্রতুল।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য –এ বার আমি আসছি সেটাতে, সেই তথ্যেই। অনেক দিন দেখা হয়নি তো আপনার সঙ্গে। সানরাইজ সিটি, যেটা নোনাডাঙায় হচ্ছে, সেকেন্ড সেক্টর। থার্ড সেক্টর, ১৩০ একর জমি আমরা বানতলার সারপ্লাসটা নিয়ে নিয়েছি, সেটা বানতলার লাগবে না। লাস্ট বাট নট লিস্ট, ১৫২ তো বর্তমান ফার্স্ট ফেজেই আছে রাজারহাটে। আরও ৩০০

একর জমি সেকেন্ড ফেজে আছে রাজারহাটে আইটি-র জন্য। আর তৃতীয় যেটা আপনি বললেন ছড়ানোর
ব্যাপারটা। একটা মজা দেখবেন, ব্যাঙ্গালোর ছেড়ে কেউ কিন্তু ম্যাঙ্গালোরে যাবে কি না আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম।

হায়দরাবাদের পাশে ডেজার্টেড ল্যান্ড আছে, আমাদের শহরের পাশে ও রকম রুক্ষ্ম জমি নেই। ওরা সেখানে
expand করতে পেরেছে। আমাদের এখানে ঐ connectivity না-আসা পর্যন্ত, আপনি যেটা বলছেন correctly,

এটা দুটো কারণে হবে, একটা connectivity চাই। যে কারণে একটু কাছে দুর্গাপুর বলে একটু হচ্ছে। হলদিয়াও
হবে যদি সমুদ্রের নীচ দিয়ে ওই connection টা এসে যায়। কেন্দ্রীয় শিল্পমন্ত্রী রাজি হয়েছেন, ওটা আমাদের
এখানে আসবে। তা হলে অন্য জায়গায় ঠেলতে পারব। কিন্তু other social infrastructure বলতে যেটা বোঝায়,

ভালো হোটেল, এয়ারপোর্ট, রেস্তোরাঁ এগুলো না থাকলে বড় কোম্পানিকে আনা যাবে না।

সুমন - সে তো আপনার দল আপনাকে করতে দেবে না। এয়ারপোর্ট মডার্নাইজেশনই আটকে দিচ্ছে।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - (হাসি) মর্ডানাইজেশন আমার চাই।

সুমন - সেটা কী করে করবেন? How you will convince Prakash Karat and M.K. Pandhe?
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - দেখা যাক।

সুমন - পারবেন বলে আপনার মনে হয়?

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - চেষ্টা করব।

সুমন -একটা জিনিস আমাকে বলুন, এই যে ভাবমূর্তির ইস্যু সেটাতে সবাই বলছেন যে ভাবমূর্তি চেঞ্জ হয়েছে বিকজ অফ

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং নিরুপম সেনের যোগ্য সঙ্গতে It’s completely a personal issue। Do you enjoy
it or you feel embarrassed?

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - না না, বাস্তব ঘটনা তা নয়।

সুমন - Perception তাই।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - Perception টা আপনাদের। অনেক সাংবাদিক ব্যক্তিকে বড্ড বেশি বড় করে তোলেন, সেটা মুশকিল।

সুমন - কিন্তু ব্যক্তি যদি গুরুত্ব পাওয়ার যোগ্য হয়, তা হলে তা করব না কেন?

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য -কিন্তু আমাদের গোটা কাঠামোটাই আপনারা দেখেছেন, ব্যক্তিকেন্দ্রিক না। আমার যদি এ রকম টিম না থাকত, আমার পিছনে যদি পার্টির সমর্থন না থাকত, আমি কি করতে পারতাম?

সুমন -জ্যোতি বসুর জমানায় হয়নি কেন? আপনি ছিলেন দ্বিতীয় নম্বর, নিরুপমবাবু ছিলেন না, বাকি সবাই ছিল, হোল টিম, সেম পার্টি…

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - হয়নি মানে?

সুমন - আপনাকে একটা কাহিনি বলি শুনুন। Don’t feel embarrassed। আমরা একটা সার্ভে করেছি । আপনি ও জ্যোতিবাবুর মধ্যে তুলনামূলক যে ফিগার, আপনি শুনলে আশ্চর্য হবেন যে ৬১% মানুষ মনে করেন you are better CM than জ্যোতিবাবু। আর জ্যোতিবাবু ২১%। এটা কি মিডিয়া তৈরি করেছে? মানুষকে তো মিডিয়া তৈরিকরে না। মিডিয়া কাগজে লেখে বা এই আমরা ক্যামেরার সামনে কথা বলছি।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - এটা কিন্তু আমি বলার জন্য বলছি না।

সুমন - আর আমিও আপনাকে flatter করার জন্য বলছি না, I am carrying the report with me।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য -এটাও কিন্তু আমি আপনাকে বলছি যে একটা ব্যক্তির পারফরম্যান্স করার ক্ষমতা তখনই হয়, যখন তার পিছনে খানিকটা কালেক্টিভ মানসিকতা থাকে। যারা আমার পাশে আছে, নিরুপম, আমার কয়েকজন তরুণ মন্ত্রী, এরা না থাকলে, এবং পার্টি পিছন থেকে আমরা যে প্রোগ্রামগুলো নিচ্ছি, ভাবছি, চিন্তা করছি, সেগুলো সমর্থন না করত…

সুমন - তাহলে এটা কি সত্যি যে জ্যোতিবাবুর আমলে সেগুলো সমর্থন

করেনি, আপনার আমলে করছে?

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - আপনি তো এমন করে বলছেন যেন ওই সময়ে আমার কিছু করণীয় ছিল না। যেন আমি ক্লিন স্লেট নিয়ে শুরু করেছি। তা তো নয়, It is a continuation of the same

policy। আমি কোনওটার ওপর বেশি জোর দিয়েছি, এইটুকু পার্থক্য হতেই পারে।

সুমন -আপনি সফল হয়েছেন, পার্টিকে বাগে আনতে পেরেছেন। এইটুকু স্বীকার করতে আপনার কুণ্ঠাটা কোথায়?

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য -বেশ। কিন্তু ব্যাপারটা ঠিক সে রকম নয়। বাগে আনা, বা বাঘে কামড়ে দেওয়া, ব্যাপারটা তেমন না।

সুমন - এক্ষুণি একটা ইস্যু বলছি। ধরুন আইটি –তে ট্রেড ইউনিয়নের ঝামেলা আপনি কী ভাবে মেটাবেন? আপনি যা বলছেন তা করতে পারবেন তো! Tradeunionism in IT is a big challenge।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য -নিজের কথাটাই একটু পরিষ্কার করে নিন। আইটি-তে ইউনিয়ন হবে কি না, তা আইটি-র লোকেরাই ঠিক করবে।

সুমন - Fair enough.

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য -ঠিক? আমি এটা দেখব যে আউটসাইডারস যারা আইটি-র কোনও লোক নয়, অন্য কোম্পানির লোক, তেমন

কেউ গিয়ে ওখানে গন্ডগোল করলে আমি কোনো ভাবেই সেটা হতে দেবো না।

সুমন - কিন্তু সেটাই তো ট্র্যাডিশন

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য -একটাই হয়েছে। একদিন হয়েছে। কনফিউশনের জন্য। নেক্সট টাইম আপনি দেখবেন আইটি সেক্টরে কী হয়। দেশের সংবিধান, আইন যা বলছে, দেশের যে কোনও মানুষ কাজ করার জায়গায় ট্রেড ইউনিয়ন করতে ফর্ম

করতে পারে।

সুমন - হ্যাঁ, সে সব জায়গায় আছে, Up to them.

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য -সে তারা ঠিক করবে, তাদের যদি সময় থাকে তারা ট্রেড ইউনিয়ন করবে, কিন্তু বাইরে থেকে কেউ গিয়েকরতে পারবে না।

সুমন - ধরুন চিত্তব্রত মজুমদার যদি ওখানে মিটিং করতে যান তবে তাঁকে মিটিং করতে দেবেন না?
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - চিত্তব্রত মজুমদার যাবেন না, এটা সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সুমন চট্টোপাধ্যায় - যাবেনই না!

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - না। বাইরে থেকে এসে ওখানে কিছু করা যাবে না।

সুমন - গুরুদাস দাশগুপ্ত গেলে কী করবেন, উনি তো যাবেনই ।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - উনি তো অনেক জায়গায় যাচ্ছেন।

সুমন - হ্যাঁ, গেলে কী করবেন? আপনি তো আটকাতে পারবেন না?

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - কী ফল হচ্ছে?

সুমন - ফল যাই হোক, আটকাবেন কী করে?

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য - চেষ্টা করবো যাতে তার good sense prevail করে।

সুমন - আরও দু’ক্ষেত্রে ব্যর্থতার প্রসঙ্গ আমি তুলছি। Health is a miserable failure so also education.

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য -মানুষের যে ধারণা বা criticism এটা মানতেই হবে। সব সুন্দর ভাবে চলছে এটা তো অবস্থা নয়। আর একটা জিনিস কিন্তু আপনার দেখা উচিত, এডুকেশনটাকে আমরা বিস্তার লাভ করাতে পেরেছি। আজ ৬৮,০০০ প্রাথমিক স্কুল, এর তো একটা মূল্য আছে?

সুমন - Quantity হয়েছে, no quality ।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য -প্লিজ, আমি ওটাতেই আসছি। ৬৮,০০০ স্কুল হয়েছে, মিড ডে মিল হয়েছে, ড্রপ আউট কমেছে, আমরা চাই

একশো শতাংশ ছেলেমেয়ে স্কুলে আসুক। কিন্তু আপনি correctly যেটা বললেন, কোয়ালিটি অফ টিচিং এখনও

পর্যন্ত সঠিক মানের নয়। ৬৮,০০০ স্কুল, আটষট্টি হাজারের দু’গুণ কি তিন গুণ মাস্টারমশাই, এ কাজটা খুব কঠিন

কাজ। বিশেষ করে প্রাইমারিতে ইংরেজিটা দেরিতে হলেও নিয়ে এসেছি।ব্রিটিশ কাউন্সিল আমাদের হেল্প করছে।

কোয়ালিটি অফ টিচিংটাকে আরও তুলতে হবে, শুধু বিস্তার করছি বললেই একতরফা বলা হবে।
সুমন- অনেক ধন্যবাদ, এতটা সময় দিলেন।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য- আপনাকেও। শেষে আপনাকে বলে দিচ্ছি, আপনারা ছাড়া যেমন খবর হয় না, তেমনি দেখবেন বামফ্রন্ট ছাড়া সরকারও হবে না। (শেষ)

1 comment

  1. Right here is the perfect blog for anyone who hopes to understand this topic. You understand so much its almost tough to argue with you (not that I personally will need toÖHaHa). You certainly put a fresh spin on a topic that has been written about for a long time. Wonderful stuff, just excellent!

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *