logo

আপনি করুন, আমিও করব

  • August 13th, 2022
Reminiscence, Suman Nama

আপনি করুন, আমিও করব

সুমন চট্টোপাধ্যায়

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়ে শাসকের সঙ্গে রাজ্যপালের ঠোকাঠুকি কোনও নতুন ঘটনা নয়, অন্তত এই বাংলায়। গতকাল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বিতর্কের কথা লিখতে গিয়ে হঠাৎ একটি গোপন কাহিনির কথা মনে পড়ে গেল। এই কাহিনি সম্পর্কে যাঁরা ওয়াকিবহাল তাঁদের মধ্যে একা আমি ভূশুণ্ডির কাক হয়ে বসে আছি, বাকিরা সবাই ওপরে।

১৯৯৯ সালে প্রথম এনডিএ জমানায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হয়ে এসেছিলেন বীরেন শাহ, তাঁর মনোনয়ন হয়েছিল রাজ্য সরকারের স্পষ্ট সম্মতি নিয়েই। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। একজন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতাকে মার্কসবাদী মুখ্যমন্ত্রী সাদর আমন্ত্রণ জানানোয় সে সময় রাজ্যে বেশ কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছিল, অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন কেসটা কী?

বিজেপি-র প্রথম সারির নেতা ছিলেন বীরেন শাহ। লোকসভা-রাজ্যসভায় দশ বছর দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, একটা সময়ে দলীয় কোষাগারের দায়িত্বও সামলেছেন। জরুরি অবস্থায় দিল্লিতে তাঁর বাড়িতেই বাজপেয়ী-আডবাণীর সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছিলেন জ্যোতি বসু। ফলে তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর একদিকে যেমন পূর্ব পরিচয় ছিল, অন্যদিকে তেমনি বিজেপিতে থেকেও বীরেন শাহ কখনও উগ্র হিন্দুত্বের ধ্বজাধারী ছিলেন না। তাঁর রাজনীতিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে ছিল বীরেন শাহর শিল্পপতি পরিচয়। তিনি মুকুন্দ স্টিলের কর্ণধার ছিলেন, বাজাজদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সেই কারখানা চলত। প্রধানত আর্থিক বিষয়গুলিতেই তাঁর আগ্রহ বেশি ছিল। সবার ঊর্ধ্বে তিনি ছিলেন অভিজাত ভদ্রলোক। রাজভবনে বসে তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কলকাঠি নাড়বেন, এমন আশঙ্কা সিপিএমের ছিল না, বীরেন শাহ সে পথ মাড়ানওনি। বরং রাজ্যপাল হয়ে আসার পরে জ্যোতিবাবুর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত স্তরে গভীর বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। জ্যোতিবাবু মাঝেমাঝেই রাজভবনে শাহের আতিথেয়তা গ্রহণ করতেন, মল্ট হুইস্কির গ্লাস হাতে দু’জনের খোশগল্প চলত অনেকক্ষণ।

আমি বীরেন শাহকে চিনতাম দিল্লিতে কর্মরত থাকার সময় থেকে, তখন তিনি বিজেপি-র রাজ্যসভার সদস্য, আমি সেটা কভার করতাম। তাঁর কাছে খবর তেমন কিছু থাকত না ফলে সোর্স হিসেবে আমার কাছে তাঁর কোনও গুরুত্বই ছিল না। তবে মানুষটি আমায় আকৃষ্ট করতেন প্রথম থেকেই। দেখা হলেই এক গাল হেসে কুশল জানতে চাইতেন, অনেক সময় কাঁধে হাত রেখে করিডর পার করতেন। তাঁর স্নেহের মধ্যে দুর্লভ উষ্ণতা ছিল যেটা পেশাদার রাজনীতিকদের মধ্যে বিশেষ একটা দেখিনি। তিরানব্বইয়ে কলকাতায় ফিরে আসার পরে যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল, ছয় বছর পরে যেদিন শুনলাম বীরেন শাহ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হয়ে আসছেন বেশ পুলকিতই হয়েছিলাম।

ততদিনে তাঁর পুত্র রাজেশ এবং জামাতা পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার জম্পেশ বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে। দু’জনেই পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন বিনিয়োগের সন্ধানে, দ্বিতীয়জন সফল হলেও প্রথমজনকে ব্যর্থ মনোরথ হয়েই ফিরে যেতে হয়েছিল। রাজেশের লক্ষ্য ছিল ইস্কোর মালিক হওয়া। তখন ইস্কো রুগ্‌ণ, কারখানাটির বেসরকারিকরণ নিয়ে জোর চর্চা চলছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও নীতিগত ভাবে বেসরকারিকরণের প্রস্তাবে আর আপত্তি করছিল না। সে যাই হোক, নানা কারণে সে যাত্রায় বেড়ালের ভাগ্যে আর শিকে ছেঁড়েনি। শেষ পর্যন্ত ইস্কোর ত্রাতা হয়ে অবতীর্ণ হন রামবিলাস পাসোয়ান। ইস্পাত দফতরের দায়িত্ব পেয়ে তিনি ইস্কোকে পুনরুজ্জীবিত করেন, কারখানাটি থেকে যায় সরকারি নিয়ন্ত্রণেই।

রাজ্যপাল হিসেবে বীরেন শাহর নাম ঘোষিত হওয়ার পরে একদিন টেলিফোনে রাজেশ প্রস্তাব দিলেন, ‘হোয়াই ডোন্ট ইউ কাম টু বম্বে টু ইন্টারভিউ পাপা। হি উইল গো টু আওয়ার ফ্যাক্টরি টু বিড ফেয়ারওয়েল টু অল দ্য ওয়ার্কার্স অ্যান্ড হ্যাভ লাঞ্চ উইথ দেম ইন দ্য ওয়ার্কার্স ক্যান্টিন। ইউ মে গো উইথ হিম।’ লোভনীয় প্রস্তাব তবু সাবধানের মার নেই বলে আমি রাজেশকে প্রশ্ন করলাম, ‘আর ইউ ইনভাইটিং এনি আদার মিডিয়া ফ্রম বেঙ্গল? আই ক্যান গো ইফ আই ক্যান ডু ইট এক্সক্লুসিভলি।’ ততদিনে রাজেশ আমার আগ্রাসী স্বভাবের পরিচয় পেয়ে গিয়েছে। হাসতে হাসতে জবাব দিল, ‘আর ইউ ক্রেজি? ডোন্ট আই নো হাউ ইনক্রেডিবলি পসেসিভ ইউ আর অ্যাবাউট স্টোরিজ। অলসো উই হ্যাভ টু কিপ ইন মাইন্ড আওয়ার ফাদার্স ওয়েলফেয়ার, হোয়াইল হি ইজ ইন ইওর সিটি।’

নির্দিষ্ট দিনে, সকাল সকাল পৌঁছে গেলাম বীরেন শাহর মালাবার হিলসের প্রাসাদোপম বাড়িতে। চারদিকে কেমন যেন গা ছমছম করা নির্জনতা, এত সুন্দর করে সাজানো সবকিছু যে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতে হয়। পৌঁছনোর মিনিট দু’য়েকের মধ্যেই বীরেন শাহ আমাকে ডেকে নিলেন দোতলার ব্রেকফাস্ট রুমে। ঘরে ঢুকে দেখি ধোপদুরস্ত ধুতি পাঞ্জাবি পরে হবু রাজ্যপাল মশাই টেবিলে বসে আছেন, সামনে কফির পেয়ালা, কয়েকটা ইংরেজি খবরের কাগজ। গুজু বাড়ির নিরামিশ ব্রেকফাস্ট আমার একেবারেই পছন্দ হল না। দু’টো ধোকলা আর এক কাপ সুরভিত কফি খেয়ে আমরা বেরিয়ে পড়লাম শাহ সাহেবের ঝকঝকে মার্সিডিজে। গন্তব্য মুম্বইয়ের উপকন্ঠে মুকুন্দ স্টিলের কারখানা। ঘণ্টাখানেকের পথ, আমার যা জানার ছিল, তাঁর যা বলার ছিল সবই চলন্ত গাড়িতে চুকেবুকে গেল। ফিরে এসে আমি লেখার শিরোনাম করলাম, ‘জনগণের রাজ্যপাল হতে চান বীরেন শাহ।’ কথাটি সোনার পাথরবাটির মতো শোনালেও আমার কিছু করণীয় ছিল না। তিনি অসম্ভবকে সম্ভব করার কথা বলেছিলেন আমি সেটাই লিখে দিয়েছিলাম।

কলকাতায় এসে রাজভবনকে তার পুরোনো জৌলুস ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এর আগে কংগ্রেস জমানায় এমন সব ব্যক্তি রাজভবনে এসেছিলেন যাঁরা বিদায়ের সময় কাটলারি, ছুরি কাঁটাচামচও সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন। আরও একটি প্রশংসনীয় কাজ করেছিলেন শাহ, রাজভবনের দরজা সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দিয়েছিলেন। বাংলার জেলায় জেলায় তিনি চক্কর কাটতেন, আমজনতার সঙ্গে মিশতেন, কিন্তু ভুল করেও রাজ্য সরকার সম্পর্কে কোনও আলটপকা মন্তব্য করেননি। রাজ্যপাল পদের গাম্ভীর্য তিনি আগাগোড়া রক্ষা করেছেন, সংযমের লক্ষণ রেখা কখনও অতিক্রম করেননি।

তখন রাজভবন মানে আমার সামনে অবারিত দ্বার। মাঝেমাঝেই শাহ আমাকে সেখানে ডেকে পাঠাতেন, যত্ন-আত্তি করতেন, নৈশভোজ খাওয়াতেন, কিন্তু কখনও পানীয় অফার করেননি। ধীরে ধীরে তাঁর সঙ্গে আমার প্রায় পিতাপুত্রের সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল।

একদিন সন্ধ্যায় আনন্দবাজারে নিজের ঘরে বসে মন দিয়ে কাজ করছি, রাজভবন থেকে ফোন এল। ‘সাহাব আপসে আভি মিলনা চাহতে হ্যায়, আপ তুরন্ত আ যাইয়ে।’ কাজকর্ম ফেলে দৌড়লাম রাজভবনের উদ্দেশে, কিছুটা উদ্বিগ্ন মনেই। কোনও কেলো করে ফেললাম নাকি? সেটা কী হতে পারে? ভাবতে ভাবতে সোজা তিনতলায় রাজ্যপালের ব্যক্তিগত বাসভবনের ড্রয়িং রুমে। গিয়ে দেখি সস্ত্রীক পাশাপাশি দু’টি চেয়ারে বীরেন শাহ বসে আছেন, দু’জনের মুখশ্রীই আষাঢ়ের মেঘের মতো কালো, থমথমে। আলাপচারিতা কিছুটা এগোতেই পরিষ্কার হয়ে গেল, কেলোটা আমি নই, মহামহিম রাজ্যপালই করে বসেছেন, আমার তলব পড়েছে আগুন নেভাতে তাঁকে সাহায্য করার জন্য।

গম্ভীর গলায় শাহ জানালেন তার আগের রাতে জ্যোতি বসু রাজভবনে এসেছিলেন নৈশভোজ খেতে। হুইস্কির গেলাসে প্রথম চুমুক দিয়েই তাঁর স্বভাবসুলভ নির্বিকার গলায় মুখ্যমন্ত্রী বলে ওঠেন, ‘আই সাজেস্ট ইউ রিজাইন ইমিডিয়েটলি অ্যান্ড গো-ব্যাক। এলস দ্য সিচুয়েশন মে গো আউট অব হ্যান্ড, আই ওনট বি এবল টু ডু এনিথিং অ্যাবাউট ইট।’ এই হলেন নির্বিকল্প জ্যোতি বসু। আতিথেয়তা রাখতে যাঁর কাছে এসেছেন বরফের মতো ঠান্ডা, নির্লিপ্ত গলায় তাঁকেই বলছেন, ঘাট হয়েছে, এবার আপনি বিদেয় হোন। ভাবা যায়!

কেন এমন চরম ফরমান জারি করা? হঠাৎ কী এমন হল যে বন্ধু মুখ্যমন্ত্রী সোজা রাজ্যপালকে গেট-আউট বলে দিলেন। এবার মিসেস শাহ আমাকে যে কাহিনিটি শোনালেন তা সংক্ষেপে এই রকম। রাজভবনের সংগ্রহশালায় কর্মরত এক মহিলা কর্মী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ এনে নানা জায়গায় চিঠি লিখেছেন। মহিলার স্বামী সিটুর কেষ্টবিষ্টু নেতা, তিনি সিপিএমের অন্দরে সহধর্মিনীর নিগ্রহের বিরুদ্ধে সুবিচার দাবি করে জোর হৈ-হল্লা শুরু করে দিয়েছেন। জল এতদূর পর্যন্ত গড়িয়েছে যে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী রাজভবন বয়ে এসে বীরেন শাহকে আলটিমেটাম দিয়ে গিয়েছেন।

শুনতে শুনতে আমার দু’কান গরম হয়ে উঠছে, লজ্জায় মাথা তুলতে পারছি না। মিসেস শাহ কথা বলা বন্ধ করার পরেও কয়েক সেকেন্ড আমি মাথা তুলতে পারলাম না। খুবই নিচু লয়ে প্রশ্ন করলাম, ‘হোয়াট অ্যাম আই সাপোসড টু ডু হিয়ার? আই ডোন্ট থিঙ্ক আই হ্যাভ এনি রোল ইন দিস।’ মাথা তুলে দেখি রাজ্যপাল এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন, জল গড়াচ্ছে দু’চোখ দিয়ে। ‘ডু ইউ বিলিভ আ ম্যান অব মাই স্ট্যাচার ক্যান ডু সাচ আ নাস্টি থিং? ইউ আর লাইক মাই সন। টেল ইওর ফ্রেন্ডস ইন সিপিএম নট টু বিলিভ সাচ অ্যান আউটরেজাস অ্যালিগেশন। অলসো কিপ ইট কনফিডেন্সিয়াল, ডোন্ট ইভন টেল অভীক, হি উইল ল্যাপ আপ দিস গসিপ।”

সিপিএমে আমার বন্ধু? মনে মনে কিছুটা হাসলাম, তারপর আর কালক্ষেপ না করে সোজা নীচে নেমে গাড়িতে, এবার গন্তব্য আমার জানা একমাত্র মুশকিল আসানের বাসস্থান। অনিল বিশ্বাস।

রাত দশ’টা বেজে গিয়েছে, দরজা খুলে আমাকে দেখে অনিলদা কেমন যেন বিচলিত, ‘কী হল, তোমার কোনও বিপদ আপদ হয়নি তো! স্যর ভালো আছেন তো?’ স্যর মানে আমার পিতৃদেব, অনিলদার প্রিয় মাস্টারমশাই।

চেয়ারে বসতে বসতে বললাম, ‘দাদা ঘোর বিপদ, তবে আমার নয়।’ 

তাহলে কার?

মহামহিম রাজ্যপালের। বিপদের কারণ নাকি আপনার দল।

এক চিলতে হাসি ফুটল অনিলদার ঠোঁটে। হাত নেড়ে আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললেন,’ জানি, জানি, সব জানি। কিন্তু তুমি জানলে কী করে?’ কোনও রকম ঢাকঢাক গুড়গুড় না করে সব কথা খুলে বললাম। ‘আপনি কি এই বৃদ্ধ ভদ্রলোকটিকে সাহায্য করতে পারেন?’ কয়েক সেকেন্ড চুপ করে থেকে অনিলদা বললেন, ‘তুমি কি তোমার বন্ধুকে দিয়ে একটা কাজ করাতে পারবে?’ 

কী কাজ? কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন সহ-উপাচার্য মনোনীত করার জন্য রাজ্যপালের কাছে তিনটি নাম পাঠানো হয়েছে। আমরা চাই উনি এক নম্বরে থাকা নামটি মনোনীত করুন। আমাদের কাছে খবর আছে, তিনি প্রথমজনের বদলে তৃতীয় নামটি মনোনীত করতে পারেন। তাহলে তো ওঁকে পরের দিনই বাংলা ছাড়তে হবে।

‘আর যদি এক নম্বরকে মেনে নেন?’ 

‘তখন দেখব কী ভাবে ওঁকে সাহায্য করা যায়।”

আমিই রাজ্যপাল এমন একটা ভঙ্গিতে অনিলদাকে বললাম, ‘এটা কোনও ব্যাপার হল। আমি কথা দিচ্ছি আগামীকাল বিকেলের মধ্যে উনি এক নম্বরকে মনোনীত করে চিঠি পাঠিয়ে দেবেন।’ 

পরের দিন এই কাজটি করাতে আমার সময় লেগেছিল তিরিশ সেকেন্ড। তারপর যৌন নিগ্রহের অভিযোগ চলে গেল কালাধারে, কার্যকালের মেয়াদ সম্পূর্ণ করে বীরেন যে শাহ সসম্মানে মুম্বই ফিরে গেলেন। 
তিনজনের তালিকায় প্রথম নামটি কার ছিল জানেন?

সুরঞ্জন দাশ। তার অনতিকাল পরেই উপাচার্য। সেই থেকে আজ পর্যন্ত সুরঞ্জন বরাবর উপাচার্যই রয়ে গেলেন। জমানা বদলাল, তাঁর পদ আর বদলাল না!

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *