- August 13th, 2022
স্বদেশিআনায় নেশাযোগের সূচনা
জীবনে যে কাজটাই করি না কেন, একেবারে সিঁড়ির প্রথম ধাপ থেকে শুরু করে তারপর ধীরে ধীরে এগিয়েছি। হয়তো কোনও সিঁড়িতেই আমাকে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি,
জীবনে যে কাজটাই করি না কেন, একেবারে সিঁড়ির প্রথম ধাপ থেকে শুরু করে তারপর ধীরে ধীরে এগিয়েছি। হয়তো কোনও সিঁড়িতেই আমাকে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি,
ছেলেবেলায় আমাদের যে অনেক নতুন জামা-কাপড়ের প্রাপ্তিযোগ হতো মোটেই তা নয়। আটপৌরে মধ্যবিত্ত জীবনযাপন, তদোপরি গৃহকর্তা টু-পাইস ফাদার-মাদার
আমি মফঃস্বলে বড় হয়েছি, পুজো যে আসছে তা টের পেতাম প্রকৃতির ইঙ্গিতে, মনের অন্দরের তা থৈ তা থৈ আনন্দে।
বহুদিনের জমে থাকা পুরোনো কাগজপত্র ঘাঁটতে ঘাঁটতে একটা কার্ড দেখে হৃদয়তন্ত্রিতে হঠাৎ কিঞ্চিৎ কাঁপন লাগল যেন।
জীবিত স্বজন-বন্ধুর তালিকাটি একটু একটু করে ছোট হচ্ছে। ইস্কুলে যে সব বন্ধুর সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে থেকে নানা রকম শয়তানি করতাম,
‘কলকাতা শহরটা তখন একটা অন্য শহর ছিল। কিছু হতে হবে বলে কেউ কিছু করত না। কবিরা কবিতা লিখত তার পর ঘুমিয়ে পড়ত
কোথাও একটা পুরো ইনিংস খেলার সুযোগ পাইনি, মানে দেওয়া হয়নি। সে জন্য আফশোস কিছুটা তো রয়েই গিয়েছে। সান্ত্বনা কেবল এই তথ্যটুকুতে যে বাংলা খবরের
বন্ধু তো কতই আছে, হৃদমাঝারে আছে কয় জনা? জীবন অনেক কিছু শেখায়, আমাকেও শিখিয়েছে, কেন না আমি যে ভাঙায় গড়া মানুষ।
জীবনে দুর্যোগ কম দেখিনি, প্রাপ্যের চেয়ে বেশিই দেখেছি বোধহয়। কিন্তু নিজেকে এতটা অসহায় আর কখনও মনে হয়েছে কি? মনে করতে পারছি না।
পিসির গোঁফ থাকলে বাবারা চার ভাই হতেন, এই জাতীয় আলোচনা অবশ্যই বুরবকের কম্মো। কী হলে কী হতে পারত, ইতিহাস তার ধার ধারে না, যা হয়েছে সেটাকেই কাটাছেঁড়া করা তার কাজ।
বৌ, নাপিত আর দাঁতের ডাক্তার কখনও বদলাতে নেই বলে উপদেশ শুনেছি। ঘাড়ে মাথা একটাই, বৌ বদলের চিন্তাকে প্রশ্রয় দেওয়ার