- August 13th, 2022
জোট-ঘোঁট-ভোট (৫)
প্রধানমন্ত্রীর সহযাত্রী-দলে আমি একাই সাংবাদিক, যা কিছু দেখছি, যা কিছু শুনছি, তারপর সন্ধেবেলায় রিপোর্ট করছি, সবটাই আমার ‘এক্সক্লুসিভ’, একবারে যেন অরক্ষিত গোলে বলটা গড়িয়ে দেওয়া।
প্রধানমন্ত্রীর সহযাত্রী-দলে আমি একাই সাংবাদিক, যা কিছু দেখছি, যা কিছু শুনছি, তারপর সন্ধেবেলায় রিপোর্ট করছি, সবটাই আমার ‘এক্সক্লুসিভ’, একবারে যেন অরক্ষিত গোলে বলটা গড়িয়ে দেওয়া।
আমার তৈরি প্রশ্নমালাটি মণিশঙ্কর আইয়ারের মোটেই পছন্দ হল না। অবশ্য তার কারণও ছিল, অর্ধেকের বেশি প্রশ্ন ছিল চোখাচোখা, চরম অস্বস্তিকর।
অফিসে ফেরা মাত্র গুণধরদা প্রায় দৌড়ে এলেন আমার কাছে। কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিস করে বললেন, ‘এক্ষুনি বাবুর ঘরে যান,
তখন ভোর রাত, তিনটে-সাড়ে তিনটে হবে।আনন্দবাজার রিপোর্টিংয়ে নাইট ডিউটিতে থাকা আমার এক সহকর্মী একটি অপ্রত্যাশিত ভোটের ফল জানতে পেরে টেলিফোন ঘোরালেন।
দিন কতক আগে ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছিলাম, লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পরে দিল্লিতে মদের দোকানের সামনে লম্বা লাইন। শিরোনামে লিখেছিলাম, ‘হে মোর দুর্ভাগা দেশ’।
আরও অনেক কিছুর সঙ্গে হোয়াটস অ্যাপ একটি অতি জরুরি কাজ করে থাকে। ভুলতে না দেওয়া। এই যে গতকাল অক্ষয় তৃতীয়া ছিল, আমার তা মনেই ছিল না, কয়েক জন বন্ধুর মেসেজ মনে করিয়ে দিল।
বেঙ্গালুরুর নিমহ্যান্সের এক সায়কিয়াট্রিস্টের একটি ভিডিয়ো দেখার পর থেকে আমার মনে প্রশ্নগুলি ঘুরপাক খাচ্ছে। নিমহ্যান্স, দিল্লির এইমস, ইন্ডিয়ান সায়কিয়াট্রিক সোসাইটির কয়েকজন যশ্বসী মনোবিদ
রিপোর্টিং বিভাগে পা রাখতেই আমার অভিমন্যু দশা। চক্রব্যুহের নানা কোণ থেকে শোঁ শোঁ করে উড়ে আসছে হৃদয়ভেদী সব বাণ।
এই ছবিটি গত ২৪ এপ্রিল ফেসবুকে পোস্ট করেছিলাম। তারপর সবে পক্ষকাল কেটেছে। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে খবর পেলাম শৌনকও ছবি হয়ে গিয়েছে।
পিসির গোঁফ থাকলে বাবারা চার ভাই হতেন, এই জাতীয় আলোচনা অবশ্যই বুরবকের কম্মো। কী হলে কী হতে পারত, ইতিহাস তার ধার ধারে না, যা হয়েছে সেটাকেই কাটাছেঁড়া করা তার কাজ।
বৌ, নাপিত আর দাঁতের ডাক্তার কখনও বদলাতে নেই বলে উপদেশ শুনেছি। ঘাড়ে মাথা একটাই, বৌ বদলের চিন্তাকে প্রশ্রয় দেওয়ার