- August 13th, 2022
পূর্ণকুম্ভ, শূন্য মন (দ্বিতীয় পর্ব)
সস্ত্রীক কলকাতা থেকে কালকূট দিল্লিতে এসেছিলেন হরিদ্বার যাত্রার দু’দিন আগেই। হয় তিনি বুঝতে ভুল করেছিলেন, নয় আমাদের বুঝতে ভুল হয়েছিল।
সস্ত্রীক কলকাতা থেকে কালকূট দিল্লিতে এসেছিলেন হরিদ্বার যাত্রার দু’দিন আগেই। হয় তিনি বুঝতে ভুল করেছিলেন, নয় আমাদের বুঝতে ভুল হয়েছিল।
প্রেম ব্যাপারটা বাজার করার মতো দেখে বেছে হয় না, এই ভয়ঙ্কর উপলব্ধি ক্লাস ইলেভেনে বৈষ্ণব পদাবলী পড়াকালীন করা গেল
১৩৯২-এর ২৬ শে চৈত্র। খ্রিস্টাব্দের হিসেবে ১৯৮৬-র ৯ এপ্রিল। চৈত্র-অমাবস্যার সন্ধে নেমেছে হর-কি-পিয়ারির ঘাটে। চলছে গঙ্গা-আরতির প্রস্তুতি।
তরাইয়ের ছোট চা বাগানে কেটেছে স্কুল জীবন। তিন মাইল দূরে খড়িবাড়িতে স্কুল; সাইকেলে, কখনও বা হেঁটেই যেতাম।
বারবার প্রেমে হাফ-সোল খাওয়ার কারণে পুপুর বন্ধুরা ওকে ভোঁদাই বলে ডাকত। যখন ও ক্লাস টেনে পড়ে, তখন ক্লাস নাইনে পড়া পাড়ার মেয়ে
তখন ক্লাস সেভেন। সে বার অষ্টমীর দিন বন্ধুরা মিলে শাড়ি পরে মণ্ডপে গেছি অঞ্জলি দিতে। প্রথম পর্ব শেষ হয়ে দ্বিতীয় পর্বের অঞ্জলি শুরু হয়েছে।
আমি প্রেমে পড়েছিলাম পাঁচ ফুট এগারো ইঞ্চি লম্বা চেহারা আর বড় বড় চোখের এক প্রবল রোমান্টিক সৈনিকের। প্রেম চলত চিঠিতেই।
দীর্ঘদিন নামকরা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়িয়েছি। অফিস পলিটিক্স আর লবিবাজিতে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়েছে। একটা সময়ে মনে হয়েছে ধুস!
পুরীর সাগরতীরে একটা প্লাস্টিকের চেয়ারে, ছাতার নীচে বসে আছি। সামনে সমুদ্র ঢেউয়ের পর ঢেউ ভাঙছে। পকেটে ফোনটা ভাইব্রেট করে উঠল।
পিসির গোঁফ থাকলে বাবারা চার ভাই হতেন, এই জাতীয় আলোচনা অবশ্যই বুরবকের কম্মো। কী হলে কী হতে পারত, ইতিহাস তার ধার ধারে না, যা হয়েছে সেটাকেই কাটাছেঁড়া করা তার কাজ।
বৌ, নাপিত আর দাঁতের ডাক্তার কখনও বদলাতে নেই বলে উপদেশ শুনেছি। ঘাড়ে মাথা একটাই, বৌ বদলের চিন্তাকে প্রশ্রয় দেওয়ার